শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ধসে পড়ল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। অবশ্য নিউজিল্যান্ডের জয় অনুমিতই ছিল।
দিনশেষে রেকর্ড জয়ে টিম সাউদির বিদায় রাঙিয়েছে তারা।
হ্যামিল্টনে সিরিজের শেষ টেস্টে কিউইদের কাছে ৪২৩ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। রানের ব্যবধানে যৌথভাবে এটি নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৮ সালে ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কাকেও ৪২৩ রানে হারিয়েছিল তারা।
৬৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গতকালই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। আজ ১৮ রানে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। জ্যাকব বেথেল ও জো রুট ছাড়া আর কেউই সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে তাদের ১০৪ রানের জুটিটি ভাঙে রুট আউট হলে। ৬৪ বলে ১০ চারে ৫৪ রান করেন তিনি।
এরপর ২২ ওভারও খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। গুটিয়ে যায় ২৩৪ রানেই। ৯৬ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন বেথেল। এছাড়া ৪১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান আসে গাস অ্যাটকিনসনের ব্যাট থেকে। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির জন্য ব্যাটিংয়েই নামেননি অধিনায়ক বেন স্টোকস।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৮৫ রান খরচে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। এর আগে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। শুধু তা-ই নয়, ব্যাট হাতে ৭৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন সাউদি। প্রায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ১০৭ টেস্টে ৩৯১ উইকেট নিয়ে থামেন ডানহাতি এই পেসার। টেস্টে কিউই বোলারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল স্যার রিচার্ড হ্যাডলির (৪৩১)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৩৪৭ ও ৪৫৩
ইংল্যান্ড: ১৪৩ ও ৪৭.২ ওভারে ২৩৪ (বেথেল ৭৬, রুট ৫৪, অ্যাটকিনসন ৪৩; স্যান্টনার ৪/৮৫, সাউদি ২/৩৪, হেনরি ২/৬২)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪২৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২–১–এ জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল স্যান্টনার।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: হ্যারি ব্রুক।